কাউকে ভালোবাসার চোখে ‘ভালবাসি’ বলাটাও একটা প্রেম। প্রেমে পড়ে নিত্য নিত্য নিজের করে নেয়াটাও একটা ভালোবাসা। ভালোবাসার মানুষের ভালোতে বাস করাটা নিত্যই ভালোবাসা। আদতে ভালোবাসা ব্যাপারটাই স্বতঃস্ফূর্ত, যার মাঝে কোন কিছুই অশুদ্ধ নয়।
পৃথিবীতে যত মহৎ মহৎ অনুভূতি আছে তার মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতিটাই শ্রেষ্ঠ। ভালোবাসা ভালোতে থাকতে শেখায়, ভালো রাখতে শেখায়। আদতে ‘ভালোবাসা’ আর ‘ভালো’ বিষয়টা গভীরভাবে কাছাকাছি। যেখানে ‘ভালোবাসা’ নেই সেখানে কোন কিছুই ‘ভালো’ নেই। ভালোবাসা ব্যাপারটাই স্বর্গীয়, যার মাঝে কোন কিছুই অসুন্দর নয়।
পৃথিবীতে যে ভালবাসতে পারে, তার মত অসীম সুখী আর কেউ নেই। ভালোবাসা মূলত আত্মার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে দেয়। প্রকৃত ভালবাসা সুখ দেয়। শত অপ্রাপ্তি, অশান্তি, অক্ষমতার মাঝেও ভালবাসা সুন্দর। আদতে ‘ভালোবাসা’ আর ‘সুন্দর’ বিষয়টা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মূলত ভালোবাসাই ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো কারণ নেই। ভালোবাসায় ভালোয় ‘ভালোবাসিই’। এর বাইরে আর কিছুই নেই।
মানুষের যখন প্রচন্ড খারাপ সময় যায়, যখন পুরো পৃথিবী তার উপর আঙ্গুল তুলে তখন তার ভালোবাসার মানুষের ক্ষুদ্র উপস্থিতিই তার সবচেয়ে বড় শান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেক ভালবাসার উপস্থিতিই অধিক থেকে অধিকতর সুন্দরতম। ভালোবাসার চেয়ে সুন্দরতম জিনিস পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। মূলত, ভালোবাসাই ভালো রাখার অধিকার। ভালোবাসাই ভালোতে বাঁচার নিঃশ্বাস।
ভালোবাসা কিংবা বিশ্বাসে মানুষ তীব্রভাবে বেঁচে ওঠে। মানুষের ভেতরের ‘আমি’টার বিকাশ হয়। ভালোবাসায় মানুষ প্রাণ ভরে বাঁচবার সুযোগ পায়। ভালোবাসায় জীবনের কোন অন্যায় বোধ থাকে না। ভালোবাসায় মানুষ নিজের ভালোর বোধে জাগ্রত হয়। ভালোতে বাঁচবার সুযোগ পায়। আসলে, ভালোবাসা ব্যাপারটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ একটা জিনিস, যার মাঝে কোন কিছুই তুচ্ছ নয়।
১৩.০৭.২০২৩, কুড়িগ্রাম।