প্রিয় আমার,
কৃতজ্ঞতার সুরে তোমাকে লিখতে বসলাম। আমার জীবনে আজ পর্যন্ত যত সব সেরা উপহার আছে, তার মধ্যে তোমার ভালোবাসা সবার উপরে। নিঃসন্দেহে তুমি আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। সাথে তোমার ভালোবাসাটাও। আমার সব অন্ধকারেও তুমি একচিলতে আলো হয়ে এসেছিলে এবং আছো। কি অদ্ভুত! তোমার উপস্থিতিতে এক নিমিষেই আমার আঁধার গুলো সরিয়ে গেল। ভাবতেই ভালো লাগে যে, আমাকে তুমি ভালোবাসো। এখন মনে হয়, আমিই বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
ভালোবাসা বলতে কি? কিংবা ভালোবাসার সংজ্ঞা কি? আমার অত কিছু জানা নেই। আমি ভালোবাসা বলতে শুধু তোমাকেই বুঝি। তুমি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করো, আমি তোমাকে কতটুকু ভালবাসি? উত্তরে তোমার দিকে তাকিয়ে ‘ভালোবাসি’ বলে দেয়া ছাড়া আর কিছুই বলতে পাবো না যে। আমার অত শত কিছুই জানা নেই। আমার ভালবাসা এক তুমি। শুধুই তুমি। ব্যস্ এতটুকুই!
জীবনে এমন কাউকে পাওয়া সত্যিই কঠিন, যাকে নির্দ্বিধায় নিজের হিসেবে নিজের কাছে পাওয়া যায়। জীবনের ‘কেউ’ কিংবা ‘কারো’র স্থানে শুধু ‘তাকে’ স্থান দেয়া যায়। আমার জীবনের ‘কেউ’ কিংবা ‘কারো’র স্থানটুকু কারোরই নয়। শুধুই তোমায়। যাকে ভেবে বিনা কুন্ঠায় বলে ফেলা যায় ‘তুমি একান্তই আমার’, ঠিক সে মানুষ আমাদের জীবনের সবচেয়ে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। ঠিক যেমন আমার তুমি। আমি আমার ভালোলাগা গুলোর মাঝে তোমাকে খুঁজে পাই। তোমাকে ভেবে বিস্মিত হই আর ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমাদের সম্পর্কটা দিন দিন বেড়ে উঠছে। আমরা ক্রমেই আমি থেকে আমরা হয়ে যাচ্ছি। তুমি একান্তই আমার। ঠিক যেমন চাঁদ টা আকাশের। তুমি ছাড়া আমাকে আমার মত এত যত্নে কে রাখবে, বলো?
আমি মাঝে মাঝে তোমার যত্নগুলোকে ভেবে তোমাকে অনুভব করি। তোমার বিনা প্রত্যাশার ভালোবাসাগুলো আমাকে পরম সুখ দেয়। তুমি আমার একান্তই আপন। একেবারে আপন। তোমাকে ভালোবাসাই আমার ভালো থাকার ঐশ্বর্য। আমাকে তুমি তোমাকে ভালোবাসার সুযোগ করে দিয়েছো। তোমাকে ধন্যবাদ।
তোমার কথা ভাবলে ভেতর থেকে শুভকামনা ছাড়া কিছুই বেরিয়ে আসে না আর। তুমি আমার পুরো অভ্যস্ততায় বেঁচে আছো দিব্যি। তোমাকে সহ জীবনের কয়েকটা নিঃশ্বাস স্বস্তিতে ফেলছি। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
ভালো থেকো গো।
০৪ মে ২০২৪, কুড়িগ্রাম।