এক সময় আমাকে জোকার নামে ডাকা হতো বেশি। আদতে এটার একটা কারণ ছিল। আমার কথায় চারপাশের মানুষজন খুব হাসতো। বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কিছু কিছু বন্ধু থাকে এরকম। ঠিক আমিও তেমনটাই ছিলাম। আসলে ছিলাম বললে ভুল হবে, ঠিক এখনো আছি। আমার জোকার নামটা বিশেষ করে বন্ধুবান্ধব ও স্যারদের মুখে ছিল বেশি। এমনকি সিনিয়ররাও বলতো। সিনিয়রদের পাশাপাশি জুনিয়ররাও ‘জোকার ভাইয়া’ বলে ডাকত। সত্যি বলতে, আমার সে সময় খুব খারাপ লাগত। বিশেষ করে জুনিয়রদের মুখে এমনটা শুনতে খারাপই লাগতো। এক কথায় ছোট বয়সে যেটা হয় আর কি। সব মিলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোকার নাম শুনতাম।
তারপর একটা সময় এটাকে মানিয়ে নেয়া শুরু করলাম। ‘মানুষকে হাসাতে তো যে কেউ আর পারে না’ এমনটা বলে নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া শুরু করলাম। তবে হ্যাঁ! আমি আসলেই দেখলাম, মানুষকে হাসানো খুব কঠিন। যে কেউ এটা পারেনা। বর্তমান সময়ে মানুষকে হাসানো অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি। কেননা একটা হাসির মূল্য অনেক বেশি। আগে জোকার নামে নিজেকে শুনতে খুবই খারাপ লাগতো। তখন অতটা বুঝতাম না। এখন এই নামে নিজেকে শুনলে অনেকটা প্রাউড ফিল করি। যে কেউ চাইলেই তো আর জোকার হতে পারে না। সত্যি বলতে, এটা আমাকে অনেকটাই মানুষের জন্য ভালো কাজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে কিছু কিছু বন্ধু আছে, তাদের কথাবার্তায় নিতান্তই হাসি পাওয়াটা স্বাভাবিক। খেয়াল করে দেখবেন, নিজের শত শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাদের মাঝে নির্দ্বিধায় হাসা যায়, নির্দ্বিধায় মনের কথা বলা যায়। অন্যদিকে কিছু কিছু ফ্রেন্ড এর অতিরিক্ত ইগো থাকার কারণে সামনে সামনে অনেকে মিশতে চাইলেও গভীরভাবে কেউ মিশতে চায় না। মূলত পার্থক্য এখানেই। সব মিলে, মানুষকে হাসানো একটা আর্ট। যেটা আসলেই আমার ভালো লাগে।