২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
জ.প্র.অ
কুড়িগ্রাম
প্রিয় আমার,
শুরুতেই নিত্যদিনের কল্যাণ কামনা। ভালো আছো নিশ্চয়ই। তোমার প্রথম পত্র খানার প্রত্যুত্তর দিতে বসলাম আজ। নির্দ্বিধায় বলতে বাধা নেই, “যতটা ভেবেছিনু তোমায়, তাহারও অধিক তুমি”। তোমার সহস্তে লিখিত পত্রখানা আমায় তা বুঝিয়ে দিল। তোমার পত্র খানার প্রতীক্ষায় ছিলাম বেশ কিছুকাল। শেষমেষ তা এলোই। তোমাকে দু এক কলম লিখব, প্রত্যুত্তর দিব, এটাই আমার বহুদিনের শোধিত প্রতীক্ষা। তা আজ পূরণ হলো।
সপ্তাহ না যেতেই তোমার স্বহস্তে লিখিত দুটি পত্র পেয়েছি। প্রথম পত্রখানাতে তোমার স্বহস্তের মায়া আমাকে ভাবিয়েছে বহুবার। গত ক’দিন তা নিয়েই ভাবছি মূলত। লিখব লিখব বলে লেখা হচ্ছিল না। শেষমেষ আজ সাহস করেই তোমাকে লিখতে বসলাম। পত্রে আমার প্রতি তোমার সমর্থন আমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে। তোমার অগ্রণী স্বভাব আমার একাকীত্ব কে কাটিয়ে দিয়েছে। এতে আমার সমস্ত কিছু তোমার কাছে কৃতজ্ঞ।
ভালোবাসার সমস্ত ক্ষোভ, অভিমান, দুশ্চিন্তা মুছিয়ে তোমার নিকট আজ আত্ম সমর্পণ করলাম। আদতে ভালোবাসা বিষয়টিই অন্যরকম। শুধু সুন্দর, আর সুন্দর। মাস ছয়েক এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। তুমি বিহীন নিজেকে কতটা একাকিত্বে কাটিয়েছি, সেটা তুমি না এলে বুঝতামই না। ভালোবাসি তো তাই অতীত স্মৃতি গুলো ভাবলে হাসি পায়। আমাকেও যে কেউ এতটা ভালবাসতে পারে, সেটা তুমি না এলে বুঝতামই না। তোমাকে ভালোবাসি, তোমাকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর অনুভূতির অন্তরালে নিজের স্থান দেই। ব্যস্…
তোমায় নিয়ে সুন্দর সুন্দর অনুভূতির সাধনা আমার নিত্যদিনের কর্ম। তোমায় যখন লিখতে বসি তখন নিজের মাঝে স্বর্গীয় অনুভূতি কাজ করে। তোমাকে ভালোবাসি, এর মাঝে কোন সন্দেহ নেই। গত ক’দিন থেকে জ্বরে ভুগছি। সামনাসামনি তুমি নেই। তবুও আমার কপালে তোমার কোমল হাতের স্পর্শ যেন আমি অনুভব করছি রোজ রোজই। তোমায় নিয়ে আমির আমিত্ব গুলো প্রতিনিয়তই জাগ্রত হয়। এগুলো আমাকে সামনের পথে এগিয়ে যাবার পথকে প্রশস্ত করে দেয়। সর্বদা এটাই তোমার প্রতি আমার শ্রী চেতনা।
তোমার হৃদয় বেদীর অনন্ত প্রেম আমাকে প্রেমিক বানিয়ে তুলেছে। অনুযোগ, অভিযোগ কিংবা দাবী বিহীন ভালোবাসায় তোমাকে ভালবাসতে শিখিয়েছে। এটাই তো আমার বড় পাওয়া, তাইনা বলো? তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো আপন মনে হয়। আদতে আপন নয়, অনেক অনেক আপন। তোমার প্রতি আমার অনন্ত ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সার্বক্ষণিক সমর্থন। তোমাকে ভালোবাসা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু দেবার সাধ্য আমার নেই। সাধ্যের বাইরে গিয়ে তোমায় লিখি প্রতিনিয়তই। এটাই আমার সাধের সাধ। এর বাইরে আর কিছুই নয়।
পত্রে তুমি আমাকে শ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছো। তুমি এও বলেছ যে, আমার পরে বা আগে কাউকে কখনো ভালো লাগেনি তোমার। আদতে ঠিক আমারও। ভালবাসলে ভালবাসার বাইরে অন্য কিছু করতে মানুষ ব্যর্থ। ঠিক আমিও। পত্রের শেষে আমার যত্নে তোমার সুহৃৎ সমর্থন আমাকে অনেক ভালো রেখেছে। আমি এখন একদম ভালো আছি। সকল অনুভূতির অন্তরালে গিয়ে হলেও আমি তোমার ভালোতে ভালো থাকতে চাই। এটাই তোমার প্রতি আমার নিত্য ভালোবাসা।
ও হ্যাঁ! ভুলেই গেছিলাম প্রায়। আচ্ছা, তোমার এত রাগ কিসের? একটু রাগ কমালে ক্ষতি কি? হুমম? অবশ্য তোমার রাগগুলোও আমার কাছে ভীষণ প্রিয়। আমার প্রতি রাগ করবে। আমি তোমার রাঙানো চোখের রাগে নিজেকে শুধরাতে চাই। তবে হ্যাঁ, যে রাগ নিজের ক্ষতি করে সে রাগ বর্জনীয়। নিত্য কাজ ঠিকঠাক করার আশীর্বাদ। আত্মের মঙ্গলার্থে আত্মকে শুদ্ধ কাজে নিয়োগ করবার আহ্বান। রাত্রে ঠিকঠাক খেয়ে নিও। ভালো থেকো গো।
ইতি,
আমি।
(তোমার নিত্য প্রাণেশ্বর)